সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
প্রতিদিন ডেস্কঃ
দেশে সম্প্রতি ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলপথ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন ব্যবস্থা হলেও লাইনচ্যুতির ফলে এ মাধ্যমটির প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেলপথ, লাইনে পর্যাপ্ত পাথর না থাকা এবং ফিশ প্লেট না থাকার কারণে এমন হচ্ছে বলে রেলসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া রেলের ইঞ্জিনের (লোকোমোটিভ) মান ভালো না থাকা, কোচের (বগি) বেহাল কারণেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৩ জেলায় রয়েছে রেলপথ। এর মধ্যে ৩৯ জেলার রেলপথেই রয়েছে নানামুখী সমস্যা। ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা শুধু জানমালের ক্ষতির কারণই নয়, ট্রেন পরিবহনব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। গত তিন মাসেই প্রায় ৩০টি স্থানে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বিগত সময়ে রেলে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। আমরা এখন পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করছি। সংকট কেটে যাবে। ’
জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর পাবনায় লাইনচ্যুত হয় যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি।
এদিন ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। ভোর ৫টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাঙ্গুড়া স্টেশনে পৌঁছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাস্থলের আগে ও পরের দুই পাশের স্টেশনগুলোতে আটকে পড়া বেশ কয়েকটি ট্রেনের শত শত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের পাওয়ার কারের একটি বগি লাইনচ্যুত হয় গত ৯ সেপ্টেম্বর।
ভোর পৌনে ৪টার দিকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণে ভদ্রকালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার পরে লাইনচ্যুত বগি ও পেছনের কয়েকটি বগি ফেলে রেখে মাত্র পাঁচটি বগি নিয়ে ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশনে পৌঁছায়।